সময়নিউজ : হিরো আলম এবার গান গাইলেন। আলোচনায়ও আসলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ‘হিরো আলম অফিসিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামের গানটি। এরপর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে এটা নিয়ে।
তবে ইউটিউবে প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, হিরো আলমের গানটি বেশিরভাগ দর্শকের ভালো লাগেনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) ওই ইউটিউব চ্যানেলে গানটি দেখা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার বারের মতো। গানটিতে লাইক পড়েছে ৮ হাজারের কিছু বেশি। অপরদিকে ডিজলাইক পড়েছে ১৯ হাজারের বেশি। অর্থাৎ প্রতিক্রিয়া দেখানো দিগুণেরও বেশি দর্শক এতে ডিজলাইক দিয়েছেন।
কমেন্টের ঘরে গেলে আরও খারাপ রিভিউ মিলছে। প্রায় ৭ হাজার মন্তব্যের মধ্যে ইতিবাচক মন্তব্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বেশিরভাগ মন্তব্যেরই গানটি নিয়ে ট্রোল করা হয়েছে। কেউ কেউ হিরো আলমকে আর গান না গাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
এরই মধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে গানটি ভাইরাল হয়েছে। বেশিরভাগ নেটিজেনই এর বিভিন্ন অংশ পোস্ট করে ট্রোল করছেন।
আরো পড়ুন: শবনম ফারিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ
দর্শক-শ্রোতাদের নেতিবাচক মন্তব্য এবং অতিরিক্ত ডিজলাইকের বিষয়ে হিরো আলম সময় নিউজকে বলেন, ‘আমি কি সিঙ্গার! আমি কি শিল্পী! আমি কি আগে নিজের কণ্ঠে গান গেয়েছি নাকি! প্রথম প্রথম এরকম তো হবেই। আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে। এই চ্যানেলে দেওয়ার জন্যই গান গেয়েছি।’
ভবিষ্যতে আরও গান গাওয়ার ইচ্ছা আছে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, বগুড়ার ভাষায় আরও কিছু গান গাইবো।
বগুড়ার ক্যাবল ব্যবসায়ী থেকে মিডিয়ায় আসায় হিরো আলম শুরুতে মিউজিক ভিডিও করে আলোচনায় আসেন। এরপর সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এবারই প্রথম গান গাইলেন।
গত সেপ্টেম্বরে ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশিত হয়। যা তরুণদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছিল। ওই সময় ফেসবুক ও ইউটিউবে গানটি প্রকাশ হওয়ার পর ভাইরাল হয়ে যায়। ওই গানটি দুই কোটি ৮৬ লাখের বেশি মতো ভিউ পেয়েছে। এই গানটিতেও ডিজলাইক পড়েছে তুলনামূলক বেশি। ৩ লাখ ৪৫ হাজার লাইকের বিপরীতে এতে ডিজলাইক পড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজারের মতো।
করোনা ভাইরাস লাইভ
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।